শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কর্মযজ্ঞের সাথে এ দেশের কৃষি ও কৃষি বিপ্লব ওতপোতভাবে জড়িত। তার গৃহীত নীতিমালা ও কর্মসূচিতে কৃষি, পল্লী উন্নয়ন, নিরক্ষরতা দূরীকরণ এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণকে অগ্রাধিকার দেন। তিনি সর্বপ্রথম কৃষিকে আধুনিকায়ন করেন এবং আধুনিক
যন্ত্রপাতির ব্যবহার শুরু করেন। কৃষির উন্নয়নে তার গৃহীত পদক্ষেপের মধ্যে
নিন্মক্তো পদক্ষেপ উল্লেখযোগ্য।
কৃষিতে
আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারঃ
১৯৭৮ সালে বাংলাদেশে জাপান থেকে ইয়ানমার ১১০ মিতসুবিসি ৯০,৭৫ মেশিন আমদানী করে ইরি বোরো ধান ফলনের উদ্দোগ গ্রহণ করেন। ইহাতে জমিতে উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। ফলন বৃদ্ধির ফলে কৃষকগণ লাভবান
হতে থাকে এবং বাংলাদেশের কৃষকদের উন্নতি হতে থাকে।
জাতীয় বীজ অধ্যাদেশ প্রনয়ণঃ
১৯৭৭ সালের জুলাই মাসে শহীদ জিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও যুগান্তকারী কর্মসূচি হাতে নেন বীজ অধ্যাদেশ প্রণয়নের মধ্য দিয়ে।
খাল খনন কর্মসূচিঃ
ভূগর্ভস্থ পানির সঠিক ব্যবহার নিয়ে জিয়া একজন বিজ্ঞানীর মতো চিন্তা করতেন। ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে ভূউপরিস্থ পানি ব্যবহার করে সেচের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় সেটিও ছিল জিয়ার খাল খনন কর্মসূচির অন্যতম লক্ষ্য।
কৃষি ঋণ কর্মসূচি গ্রহণঃ
শহীদ জিয়া ১৯৭৭ সালে ১০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ কৃষি ঋণ কর্মসূচি প্রণয়ন করেন, যা প্রচলিত কৃষি ঋণপ্রবাহে নতুন মাত্রা যোগ করে। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল জামানত ছাড়াই ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক যেন সহজেই কৃষিকাজের জন্য ঋণ সুবিধা পান এবং দেশের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারেন।
এছাড়াও খাদ্য
গুদামজাত , বিসিআইসি প্রতিষ্ঠা , সারকারখানা প্রতিষ্ঠা, যুব প্রশিক্ষন ও কৃষি
উন্নায়নের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। তার ফলশ্রুতিতে আজ বাংলাদেশ হয়েছে
খাদ্যে স্বয়ংস্বম্পূর্ণ । বাংলাদেশে কৃষি বিপ্লবের সাথে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর
রহমানের নাম জড়িত তাই বাংলাদেশের কৃষকরা তাকে শ্রদ্ধাভরে আজও স্মরণ করে।
লেখকঃ মোঃ আতাহার আলী (এমএ), স্বাস্থ্য পরিদর্শক(অব.), উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ।