চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) চার শিক্ষার্থীকে মাদক সেবনের দায়ে দুই বছরের জন্য সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি, তাদেরকে আবাসিক হল থেকেও চিরতরে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক ও স্টুডেন্ট ডিসিপ্লিন কমিটির সদস্যসচিব মো. মাহবুবুল আলম স্বাক্ষরিত চারটি পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
গত রবিবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মোহাম্মদ শাহ হলের ৪০২ নং কক্ষে প্রভোস্ট ও সহকারী প্রভোস্টদের পরিচালিত এক অভিযানের সময় চারজন শিক্ষার্থী এবং দুইজন ক্যান্টিন বয়কে সন্দেহজনক অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে কক্ষটি তল্লাশি করে আনুমানিক ২০ গ্রাম গাঁজা ও ৫০০ মি.লি. মদ উদ্ধার করা হয়।
অভিযুক্ত দুই ক্যান্টিন বয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা স্বীকার করে যে, তারা ওই শিক্ষার্থীদের মাদক সরবরাহ করেছিল। এছাড়া, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন জব্দ করে কল লিস্ট পর্যালোচনা করলে ক্যান্টিন বয়দের সঙ্গে তাদের ফোনালাপের সত্যতা পাওয়া যায়। আরও তদন্ত করে দেখা যায়, এক ক্যান্টিন বয়ের মোবাইল ফোনে ৪০২ নং কক্ষে চার শিক্ষার্থীর মদ পানের একটি ভিডিও সংরক্ষিত ছিল।
এই ঘটনায় হল প্রভোস্টদের লিখিত অভিযোগ এবং জব্দকৃত আলামতের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ডিসিপ্লিন কমিটির ২৮৩তম জরুরি সভায় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদক প্রতিরোধ নীতিমালা-২০১৬ এর বিধি অনুযায়ী তাদেরকে দুই বছরের জন্য সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার এবং চুয়েটের আবাসিক হল থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হয়।
চুয়েট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে মাদক সেবন ও মাদকের সংস্পর্শে থাকার বিষয়ে শূন্য সহনশীলতা নীতি অনুসরণ করা হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
