ট্রাম্প-ইউনূস দ্বন্দ্ব: সম্পর্ক মেরামতের সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ বিশেষজ্ঞদের

Date: 2024-11-16
news-banner

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে পুরোনো দ্বন্দ্ব মিটিয়ে সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচনের সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশের কৌশলগত সম্পর্কের গুরুত্ব বিবেচনায় এই দ্বন্দ্ব সমাধান সম্ভব।

২০১৬ সালে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ড. ইউনূস তার জয়কে "সূর্যগ্রহণ" হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন। সেই সময় তার সমালোচনা ট্রাম্প-ইউনূস সম্পর্ককে জটিল করে তোলে। অন্যদিকে, ইউনূসের ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে সুসম্পর্ক, বিশেষ করে বিল এবং হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, এই দূরত্ব আরও বাড়ায়।

ওয়াশিংটনের পর্যবেক্ষণ সংস্থা উইলসন সেন্টারের মাইকেল কুগেলম্যান মনে করেন, ড. ইউনূস দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতায় প্রস্তুত। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্বের কারণে ট্রাম্প প্রশাসন সম্পর্কোন্নয়নে আগ্রহী থাকবে।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিন মনে করেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ইউনূস কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিচ্ছেন। তার মতে, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক পরিবেশে বাংলাদেশের গুরুত্ব ক্রমবর্ধমান, যা মার্কিন নীতিনির্ধারকদের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্লেষক সৈয়দ মুনির খসরু বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ডিজিটাল অবকাঠামো, বাণিজ্য এবং প্রযুক্তি উন্নয়নের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে চায়। চীনের কৌশলগত মিত্র হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থানও ওয়াশিংটনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় বাংলাদেশ নিয়ে যে পোস্ট দেওয়া হয়েছিল তা তার নীতির প্রতিফলন নয়। এটি মূলত প্রচারণার অংশ ছিল।

বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, বাংলাদেশকে একজন দক্ষ লবিস্ট নিয়োগ করতে হবে, যিনি মার্কিন নীতিনির্ধারকদের কাছে বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব আরও কার্যকরভাবে তুলে ধরতে পারবেন।

বিশ্লেষকদের মতে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে প্রফেসর ইউনূস এবং ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে সহযোগিতা ভবিষ্যতে উভয় দেশের জন্য লাভজনক হতে পারে।

Leave Your Comments