তিস্তার পানি দ্রুত বৃদ্ধি, প্লাবিত হতে পারে উত্তরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল

Date: 2024-09-28
news-banner

কয়েকদিন ধরে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, শনিবারের মধ্যে তিস্তার পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছাতে বা অতিক্রম করতে পারে। এর ফলে নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও রংপুরের নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, উজানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমে হঠাৎ ভারী বৃষ্টির কারণে তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার এবং আত্রাই নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলেও ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় এসব নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছাচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ডালিয়া অঞ্চলের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, লালমনিরহাটের দোয়ানীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানির উচ্চতা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বুধবার তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার তা কিছুটা বেড়ে ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং শুক্রবার তা আরও বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বোচ্চ ২২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। রংপুর বিভাগের বেশিরভাগ জেলায় ১০০ থেকে ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া, দেশের মধ্যাঞ্চলসহ ঢাকা বিভাগেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় গতকাল বেলা তিনটা পর্যন্ত ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানান, তিস্তা অববাহিকার নিম্নাঞ্চল শনিবার থেকে প্লাবিত হতে পারে। এছাড়া, আগামী চার থেকে পাঁচ দিন পর গঙ্গা অববাহিকায় পানির উচ্চতা বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

সতর্কতা: উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের এই পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনগণকে সতর্ক থাকতে এবং বিপদগ্রস্ত হলে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে অনুরোধ জানিয়েছে। বন্যার আশঙ্কায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন, তাদের সহায়তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ইতোমধ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

সর্বশেষ বন্যার পরিস্থিতি জানতে এবং যে কোনো প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে।


Leave Your Comments