বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মন্তব্য করেছেন, কোনও রকম টালবাহানা সহ্য করা হবে না, সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করে অবিলম্বে তারেক রহমানকে দেশে ফেরার সুযোগ দিতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার না হলে কখনও দেশে নিরপেক্ষ অবস্থার সৃষ্টি হবে না।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গাজীপুরের কাপাসিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হান্নান শাহ্র স্মরণসভায় দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হাসিনা পালালেও সংকট কাটেনি। মানুষ বিশ্বাস করে, অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘যৌক্তিক সময় মানে অনেক বেশি সময় নয়। যত দ্রুত নির্বাচন করা যাবে, ততই দেশের মঙ্গল হবে। অতিদ্রুত সংস্কার করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।’
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখনও বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্র করছে এবং চক্রান্ত করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে আওয়ামী লীগ। সকলকে সজাগ থাকতে হবে। হিন্দু ভাইয়েরা এ দেশের নাগরিক। নিশ্চয়তা দিচ্ছি, যেকোনও ঘটনা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করা হবে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারকে পরাজিত করার পর দম ফেলার সুযোগ পেয়েছেন। এই সুযোগ একদিনে তৈরি হয়নি। তারা গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে। ক্ষমতা ধরে রাখতে প্রশাসন, বিচার, অর্থনৈতিক সবকিছু কুক্ষিগত করেছে। শেখ হাসিনা সরকার ভেবেছিল, সারাজীবন ক্ষমতায় থাকবে। অত্যাচার-নিপীড়ন করে ক্ষমতা ধরে রেখে সম্পদের পাহাড় গড়ার পরিকল্পনা ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা একদিন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছিল, তারাই এখন দুর্নীতির দায়ে কারাগারে যাচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে আবারও রাজপথে আন্দোলন করবো। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কোনও কৌশলই আমাদের দমাতে পারবে না।’
বিএনপি মহাসচিবের এসব বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, দলের পক্ষ থেকে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানানো হচ্ছে এবং দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য রাজনৈতিক আন্দোলন জোরদার করার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।