বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। তারা অভিযোগ করেছে, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা গুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহার না করা হলে আইনজীবী সমাজ আরও কঠোর আন্দোলনের পথে হাঁটবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এ বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে করা হয়েছে। আমরা অবিলম্বে এসব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। যদি সরকার এই দাবি উপেক্ষা করে, তাহলে আইনজীবী সমাজ আবারও রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে। আমরা এর আগেও রাস্তায় নেমেছি, এবারও প্রয়োজন হলে নেমে আসবো।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং ফোরামের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। তারা দাবি করেন, মামলাগুলো শুধুমাত্র বিরোধী দলকে দমন করার কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, “তারেক রহমানকে রাজনৈতিকভাবে পর্যুদস্ত করার জন্যই এ মামলাগুলো দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আইনজীবী সমাজ কখনো এ ধরনের অপকৌশল মেনে নেয়নি, নেবেও না।”
তিনি বর্তমান সরকারের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলছি, আপনারা যদি দ্রুত এ মামলাগুলো প্রত্যাহার না করেন, তাহলে আমরা আইনি ও গণতান্ত্রিক পন্থায় আরও বড় আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।”
এ সময় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের অন্যান্য নেতারা বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলাগুলো বাতিল করা না হলে, আইনজীবী সমাজের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সরকারের জন্য অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করবে। তারা উল্লেখ করেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলাগুলো অবিলম্বে প্রত্যাহার করা জরুরি।
তারা আরও জানান, এই দাবির পক্ষে দেশজুড়ে বিভিন্ন আন্দোলন সংগঠিত করা হবে এবং গণমাধ্যমসহ সব স্তরে চাপ প্রয়োগ করা হবে।