স্বাধীন ডেস্ক :
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌরসভার ৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকার ইজিপি দরপত্র নিয়ে বড় ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে, পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. মুকুল হোসেন সুকৌশলে দরপত্র আহ্বান করে তার পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দিচ্ছেন। স্থানীয় ঠিকাদারদের অভিযোগে বলা হয়, এই দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে, বিশেষ করে প্রাক্কলিত ব্যয়ের টাকার পরিমাণ স্পষ্টভাবে উল্লেখ না করার ফলে এখানে বড় ধরনের অনিয়মের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
২০২৩ সালের ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে মো. আব্দুর রাজ্জাক মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। তবে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রজ্ঞাপনে উপজেলা ও পৌরসভার মেয়রের পদ বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। এই সুযোগে তাড়াশ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. মুকুল হোসেন পৌরসভার রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণের জন্য ৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকার দরপত্র আহ্বান করেন। তবে স্থানীয় ঠিকাদারদের দাবি, তিনি এই দরপত্রে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করেননি এবং সুনির্দিষ্ট পছন্দের ঠিকাদারদের জন্য সুবিধা করে দিয়েছেন।
বিএনপি নেতা এবং প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার মো. আব্দুল বারিক খন্দকার অভিযোগ করেছেন যে, সহকারী প্রকৌশলী মুকুল হোসেন ইচ্ছাকৃতভাবে এমন দরপত্র তৈরি করেছেন যাতে স্থানীয় ঠিকাদাররা অংশগ্রহণ করতে না পারেন এবং শুধুমাত্র তার বাছাই করা ঠিকাদাররা কাজটি পেতে পারেন। তিনি এই দরপত্র বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, মো. মুকুল হোসেন অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেছেন যে, তিনি নিয়ম মেনেই দরপত্র আহ্বান করেছেন এবং কোনো ধরনের অনিয়ম করা হয়নি। তাড়াশ পৌরসভার প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. খালিদ হাসান জানিয়েছেন, দরপত্রের দায়ভার প্রকল্প পরিচালকের ওপর বর্তায়, তার কাজ মূলত তদারকি করা।
এই পরিস্থিতিতে দরপত্র প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি উঠেছে, বিশেষ করে স্থানীয় ঠিকাদারদের অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করার বিষয়ে।