ভারতের নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি সঞ্জিব খান্নাকে নিয়োগ দিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের স্থলাভিষিক্ত হবেন এবং আগামী ১১ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে তার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। এই ঘোষণা বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেগওয়াল মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে দিয়েছেন।
বিচারপতি সঞ্জিব খান্নার নিয়োগ ২০১৯ সালেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে হয়েছিল, তবে তখন তার এই নিয়োগ নিয়ে কিছু বিতর্ক সৃষ্টি হয়। কারণ, ৩৩ জন জ্যেষ্ঠ ও বিজ্ঞ বিচারপতিকে টপকে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন, যা সেই সময় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
১৯৬০ সালের ১৪ মে জন্মগ্রহণ করা সঞ্জিব খান্না দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি দিল্লি বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসেবে তার ক্যারিয়ার শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি দিল্লি হাইকোর্ট ও ট্রাইব্রুনালে কাজ করেন। দিল্লি হাইকোর্টে বিচারপতি হিসেবে তার দীর্ঘ ১৪ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে, যেখানে তিনি ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেন।
বিচারপতি সঞ্জিব খান্না তার বিচারিক জীবনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ভারতের সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনের আগে দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন তিনি, যা তার ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য একটি দিক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
এই নতুন নিয়োগের মাধ্যমে বিচারপতি সঞ্জিব খান্না ভারতের প্রধান বিচারপতির মর্যাদাপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হবেন, যা তাকে ভারতের বিচার বিভাগে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সহায়তা করবে।