ইন্দোনেশিয়ার সোনার খনি ধসে ১৫ জনের মৃত্যু, এখনও নিখোঁজ ৭

Date: 2024-09-28
news-banner

 ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে একটি অবৈধ সোনার খনি ধসে পড়ে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। ভারি বৃষ্টির ফলে ভূমিধসের কারণে খনিটি ধসে যায়। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।

রয়টার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রাদেশিক দুর্যোগ সংস্থার প্রধান ইরওয়ান এফেন্দি বলেন, ভারী বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সোলোক জেলার ওই অঞ্চলে ভূমিধস শুরু হয় এবং পরে অবৈধ সোনার খনিটি ধসে পড়ে। দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধারকারীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। খনিটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় সেখানে পৌঁছাতে উদ্ধারকারীদের আট ঘণ্টা সময় লেগেছে। এছাড়া, দুর্গম সড়কপথ ও খনিটির সঠিক অবস্থান খুঁজে পাওয়া ছিল অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং।

প্রাদেশিক দুর্যোগ সংস্থার প্রধান ইরওয়ান এফেন্দি জানান, খনিটি থেকে অবৈধভাবে সোনা আহরণ করা হচ্ছিল। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখনও সাতজন নিখোঁজ রয়েছেন, তাদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলছে। উদ্ধারকাজে পুলিশ ও সেনা বাহিনী অংশ নিয়েছে।

তিনি আরও জানান, ঘটনার সময় খনিতে প্রায় ২৫ জন লোক ছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে। দুর্ঘটনায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, তিনজন আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিখোঁজ ৭ জনের সন্ধানে শুক্রবার ভোর থেকেই তল্লাশি শুরু করা হয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ায় ছোট আকারের এবং অবৈধ খনির কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। খনিজ সম্পদ উত্তোলনের খনিগুলো প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলে হওয়ায় সেগুলোতে নজরদারি চালানো কঠিন। এসব খনিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় প্রায়ই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

ইন্দোনেশিয়ার খনি দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে ঘটে যাওয়া অন্যান্য খনি দুর্ঘটনার দিকেও দৃষ্টি পড়েছে। গত সপ্তাহে ইরানের পূর্বাঞ্চলে একটি কয়লাখনিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ৫১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এছাড়া ওশেনিয়া অঞ্চলের পাপুয়া নিউগিনিতে একটি বিতর্কিত সোনার খনিকে কেন্দ্র করে উপজাতিদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, সোনার খনিকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী উপজাতিদের মধ্যে ধারাবাহিক গোলাগুলির ফলে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

Leave Your Comments