খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সংঘর্ষের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাকবিতণ্ডা হয়, যা পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষ লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার পর জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, "কুয়েটে আজকে যা হয়েছে তার ফলাফল কখনোই ভালো হবে না।"
তিনি আরও বলেন, "ছাত্রলীগের বৈশিষ্ট্য আর শেষ পরিণতি থেকে শিক্ষা নিতে না পারলে দিনশেষে অবস্থা ছাত্রলীগের মতোই হবে।"
এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে এ ঘটনায় ছাত্রদলকে দায়ী করে পোস্ট দেওয়া হয়েছে। সেখানে লেখা হয়, "ছাত্রদলের সন্ত্রাস, রুখে দাঁড়াও ছাত্র সমাজ।"
কুয়েট প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।