আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি, বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি জীবনানন্দ দাশের জন্মবার্ষিকী। ১৮৯৯ সালে বরিশালে জন্মগ্রহণ করা এই কবি তার সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে বাংলা কবিতাকে এক নতুন মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছেন।
জীবনানন্দ দাশের সাহিত্যকর্মের মধ্যে অন্যতম ‘রূপসী বাংলা’, ‘বনলতা সেন’, ‘মহাপৃথিবী’, ‘বেলা অবেলা কালবেলা’ প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থ, যা বাংলা সাহিত্যে চিরস্মরণীয় হয়ে আছে। তার কবিতায় গ্রামবাংলার নিসর্গ, রূপকথা, পুরাণ ও পরাবাস্তবতার সংমিশ্রণ লক্ষণীয়। তিনি ‘রূপসী বাংলার কবি’ নামে পরিচিত।
সমকালীন বাংলা সাহিত্য ও কবিতার ধারায় জীবনানন্দ দাশ একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন। তার কবিতার স্বতন্ত্রতা ও গভীরতা তাকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের পরবর্তী বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
জীবনানন্দ দাশ কেবল কবিতাতেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না, তিনি বেশ কয়েকটি উপন্যাস ও ছোটগল্পও রচনা করেন। তবে তার অধিকাংশ গদ্যসাহিত্য তার জীবদ্দশায় প্রকাশিত হয়নি। মৃত্যুর পর, বিশেষত বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে, তিনি আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
আজ তার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থা ও সাহিত্যপ্রেমীদের উদ্যোগে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কবির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাহিত্য আলোচনা, কবিতা পাঠের আসর এবং চিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বাংলা সাহিত্যপ্রেমীরা মনে করেন, জীবনানন্দ দাশের সাহিত্যকর্ম ভবিষ্যতেও প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং তার কবিতা চিরকাল পাঠকদের হৃদয়ে বেঁচে থাকবে।