বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের সংকট নতুন মাত্রা পেয়েছে, বিশেষ করে এস আলম গ্রুপের মালিকানায় থাকা ব্যাংকগুলোতে সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকরা চরম বিপদে পড়েছেন। গ্রাহকরা সঞ্চয়পত্রের মুনাফা তুলতে পারছেন না, এমনকি আসল অর্থ ফেরত পাওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। এর বাইরে আরও কিছু দুর্বল বেসরকারি ব্যাংকের গ্রাহকরা একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, গত এক মাস ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) এবং জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের মধ্যে এই সংকট নিয়ে চিঠি চালাচালি চলছে। তবে এখন পর্যন্ত সমস্যার কোনো কার্যকর সমাধান পাওয়া যায়নি, যা গ্রাহকদের অসন্তোষ আরও বাড়িয়েছে। ইতিমধ্যে সঞ্চয়পত্রের টাকা তোলার বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর আইআরডিকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। একই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগকে চিঠি পাঠিয়েছে।
এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ৯টি বেসরকারি ব্যাংকের অধিকাংশের পরিচালনা পর্ষদ সম্প্রতি পরিবর্তিত হয়েছে। পূর্ববর্তী সরকার পতনের পর এই পরিবর্তন আনা হয়। তবে এসব ব্যাংক থেকে বিপুল অর্থ বের করে নেওয়া হয়েছে, যার ফলে ব্যাংকগুলোতে তীব্র তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। এর ফলে সাধারণ গ্রাহকরা তাদের আমানত তুলতে পারছেন না, এমনকি ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারাও বেতন তুলতে সমস্যায় পড়ছেন। সাবেক সরকারের সময়ে বিশেষ তারল্য সমর্থন দিয়ে কিছু সময়ের জন্য ব্যাংকগুলোর লেনদেন স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হয়েছিল, তবে বর্তমানে তা আর কার্যকর হচ্ছে না।
গ্রাহকরা এই সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন এবং ব্যাংকগুলোতে গিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন। তবে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলো এখনো কার্যকর কোনো সমাধান দিতে পারছে না, যা সংকটকে আরও জটিল করে তুলছে।