ইসরায়েলে শতাধিক রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ,লাখ লাখ ইসরাইলী আশ্রয় কেন্দ্রে পালাচ্ছে

Date: 2024-09-22
news-banner

সম্প্রতি ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে হিজবুল্লাহর রকেট হামলার প্রতিশোধমূলক ঘটনার ফলে লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের তারবিহীন যোগাযোগের যন্ত্র পেজার ও ওয়াকি-টকিতে বিস্ফোরণের প্রতিশোধ হিসেবে এই রকেট হামলা চালিয়েছে। এতে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে পালিয়েছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার ভোর ৫টার দিকে লেবাননের ভূখণ্ড থেকে প্রথম দফায় প্রায় ২০টি প্রোজেক্টাইল ইসরায়েলের দিকে ছোড়া হয়। এরপর সকাল ৬টার দিকে আরও ৮৫টি প্রোজেক্টাইল হামলা চালানো হয়। এই হামলার ফলে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থাপনা ও ঘরবাড়িতে আগুন ধরে যায়। রকেটের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে অন্তত চারজন আহত হন, যাদের মধ্যে তিনজন হাইফা শহরের বাসিন্দা।

ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা অঞ্চলটির সমস্ত স্কুল এবং সমুদ্র সৈকত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি জানিয়েছেন, এই রকেট হামলার প্রেক্ষিতে উত্তর ইসরায়েলজুড়ে লাখ লাখ মানুষ বোমা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়াও, উত্তর ইসরায়েলের স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে, যার ফলে লাখ লাখ শিশুর ওপর এর প্রভাব পড়বে।

ইসরায়েলের হাইফা শহরে অবস্থানরত প্যাট্রিস ওলফ নামে এক বাসিন্দা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, শহরের প্রচুর স্কুল ও অফিস জনশূন্য হয়ে পড়েছে। এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী পাল্টা জবাব হিসেবে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে।

এই ক্রমবর্ধমান সংঘাতের ফলে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, গাজা উপত্যকার বদলে এবার তাদের সামরিক অভিযান লেবাননের ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর দিকে ফোকাস করতে পারে। এই উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাৎক্ষণিক শান্তি প্রক্রিয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে।


Leave Your Comments