রাঙামাটিতে সংঘর্ষের ঘটনায় সৃষ্ট উত্তেজনার জেরে যানবাহন ভাঙচুর এবং শ্রমিকদের আহত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় যৌথ মালিক ও শ্রমিক নেতারা অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সংঘর্ষের ফলে বেশ কিছু যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার মধ্যে ছিল ৩টি বাস, ৪টি সিএনজি এবং ১২টি ট্রাক। ঘটনায় বেশ কয়েকজন চালক ও শ্রমিক গুরুতর আহত হন।
সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান জানান, শ্রমিকদের ওপর যে সহিংসতা চালানো হয়েছে তা অগ্রহণযোগ্য। তিনি বলেন, "আমাদের শ্রমিকদের কোনো দোষ ছিল না, তবুও তাদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। বাসের গ্লাস ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং চালক ও হেলপারদের মারধর করা হয়েছে। এমনকি দুইজন সিএনজি চালককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে।"
এই ঘটনায় শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন, আহতদের চিকিৎসা এবং যানবাহনের ক্ষতির ক্ষতিপূরণ না পাওয়া পর্যন্ত রাঙামাটিতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। ধর্মঘটের কারণে রাঙামাটি শহরের সড়ক যোগাযোগ অচল হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সভায় উপস্থিত অন্যান্য নেতারাও এই সহিংসতার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে। চট্টগ্রাম-রাঙামাটি ট্রাক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রহিম আকাশ, মাইক্রোবাস সমবায় সমিতির অর্থ সম্পাদক মো. দিদারুল আলম এবং অন্যান্য নেতারাও এই ধর্মঘটের বিষয়ে সমর্থন জানান।
We may use cookies or any other tracking technologies when you visit our website, including any other media form, mobile website, or mobile application related or connected to help customize the Site and improve your experience.
learn more