আজ (মঙ্গলবার) থেকে সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বেলা ১১টা থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। এ প্রক্রিয়া চলবে ৩০ নভেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই শেষে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে। আবেদন ফি ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা টেলিটকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।
এ বছর ডিজিটাল লটারি শেষে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে ১৭ ডিসেম্বর, যা চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি কার্যক্রম চলবে ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় তালিকা থেকে ভর্তি চলবে ২৬ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
প্রত্যেক শ্রেণি শাখায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৫ জনের বেশি হবে না। এছাড়া ঢাকা মহানগরের স্কুলগুলো তাদের তিনটি থানা এলাকাকে ‘ক্যাচমেন্ট’ এলাকা হিসেবে নির্ধারণ করবে।
এই বছর ভর্তির ক্ষেত্রে ৬৮ শতাংশ আসন কোটা ভিত্তিতে সংরক্ষিত। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ ক্যাচমেন্ট এরিয়া কোটা। বীর ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তর-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ শতাংশ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য ২ শতাংশ এবং যমজ ও সহোদরদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কোটা পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা শুধুমাত্র তাদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। যদি এই কোটায় শিক্ষার্থী পাওয়া না যায়, তবে মেধাতালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
উল্লেখ্য, প্রতিবার বছরের শেষ সময়ে পরবর্তী বছরের ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে ২০২১ সাল থেকে সব শ্রেণির জন্য লটারির মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু হয়, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।