রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার প্রবাসী জয়নাল মণ্ডল (৪১) সৌদি আরবে অবস্থান করছেন দীর্ঘ ১৪ মাস ধরে, কিন্তু তার স্ত্রী সীমা খাতুন (২২) বর্তমানে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, যা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আলোক কুমার দাস এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, প্রবাসী জয়নাল মণ্ডল উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বাঘুটিয়া গ্রামের মানিক মণ্ডলের ছেলে এবং তার স্ত্রী সীমা খাতুন নবাবপুর ইউনিয়নের বড় হিজলি গ্রামের মুকুল মণ্ডলের মেয়ে। ২০১৬ সালে তাদের বিয়ে হয় এবং তাদের ৭ বছরের একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। জীবিকার তাগিদে ২০২০ সালে জয়নাল সৌদি আরবে পাড়ি জমান এবং ২০২৩ সালের জুনে দেশে আসেন। ৯ আগস্ট তিনি পুনরায় সৌদি আরবে ফিরে যান।
তবে, স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জয়নালের অনুপস্থিতিতে সীমা খাতুনের সঙ্গে আরব আলী শেখের ছেলে টিটুল শেখের পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কের ফলে সীমা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয়ভাবে ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়।
সীমা খাতুন বলেন, "আমার গর্ভের সন্তানের পিতা টিটুল শেখ। ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে বিষয়টির মীমাংসা করা হয়েছে এবং টিটুল আমাকে ছেড়ে দিয়েছেন। এখন আমার স্বামী আমাকে নিতে চান না এবং আমি চরম বিপদে পড়েছি।"
বহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আরব আলী শেখ বলেন, "কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তি মীমাংসার জন্য বসেছিলেন এবং তারা ৩ লাখ টাকায় বিষয়টি সমাধান করেছেন। সীমার গর্ভের সন্তান তার মায়ের কাছেই থাকবে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।"
প্রবাসী জয়নাল মণ্ডল বলেন, "আমি প্রবাসে থেকে কষ্ট করে সংসার চালিয়েছি, কিন্তু আমার স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছে। আমি এখন সর্বস্বান্ত।"
রাজবাড়ী মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ক্রিস্টিনা মরিয়ো রেখা দাস বলেন, "ঘটনাটি অত্যন্ত জটিল এবং স্থানীয় শালিসে কিভাবে মীমাংসা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। আমরা আমাদের আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে এর সঠিক সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নেব।"
এই ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে, এবং অনেকেই স্থানীয় শালিসের নৈতিকতা ও কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।