বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি ছিলেন অক্ষয় কুমার ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। 'আন্দাজ', 'ওয়াক্ত', 'মুঝসে শাদি করোগি', ও 'এয়েতরাজ'—এমনই কয়েকটি বড় ছবিতে এই জুটি দর্শকদের মন জয় করেছিল। কিন্তু ২০০৪ সালের পর থেকে একসঙ্গে বড় পর্দায় আর দেখা যায়নি এই সফল জুটিকে। এর কারণ হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে ছড়িয়ে পড়েছিল নানা গুজব, যা অভিনেতা অক্ষয় কুমারের ব্যক্তিগত জীবনেও প্রভাব ফেলেছিল বলে জানা যায়।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে প্রযোজক-পরিচালক সুনীল দর্শন জানান, অক্ষয় ও প্রিয়াঙ্কার একসঙ্গে কাজ বন্ধ করার পেছনে বেশ কিছু ব্যক্তিগত কারণ জড়িত ছিল। সুনীল দর্শন উল্লেখ করেন তার পরিচালিত ‘বরসাত’ ছবিতে মূলত অক্ষয় কুমারকে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বিপরীতে নেওয়ার কথা ছিল। ছবির শুটিংও শুরু হয়েছিল, কিন্তু হঠাৎ করেই অক্ষয় তাকে বাড়িতে ডেকে জানান যে তিনি প্রিয়াঙ্কার বিপরীতে আর কাজ করতে পারবেন না।
সুনীল দর্শন বলেন, “এটা ছিল অদ্ভুত সমস্যা। অক্ষয়ের ও প্রিয়াঙ্কার সম্পর্ক নিয়ে চারদিকে নানা জল্পনা ছড়িয়েছিল। এতে অক্ষয়ের স্ত্রী টুইঙ্কেল খান্না এতটাই বিরক্ত হন যে, তিনি অক্ষয়ের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আমার মতে, একজন অভিনেতা হিসেবে অনেক বেশি দায়িত্বশীল থাকা উচিত।”
সুনীল দর্শন আরও বলেন, “টুইঙ্কেল নিজেও একসময় বলিউডে চুটিয়ে কাজ করেছেন এবং বড় তারকাদের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। তাই তার ইন্ডাস্ট্রির অভিজ্ঞতা ছিল, এবং তিনি এই ধরনের গুজব সম্পর্কেও সচেতন ছিলেন। কিন্তু, এই ঘটনার প্রভাব এতটাই তীব্র ছিল যে অক্ষয় নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।”
এরপর, 'বরসাত' ছবিতে অক্ষয় কুমারের পরিবর্তে ববি দেওলকে নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সুনীল দর্শন বলেন, "প্রিয়াঙ্কা নিজেকে পুরোপুরি প্রমাণ করেছিলেন। তাই আমি তাকে নিয়েই কাজটি চালিয়ে যাই এবং অক্ষয়ের পরিবর্তে ববি দেওলকে নায়ক হিসেবে নিই।"
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এক সাক্ষাৎকারে কেবল বলেছিলেন, “জীবনকে সহজ করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। আমি কারওর সুখের জীবনে বিবাদের কারণ হতে চাই না।” এর বাইরে তিনি কখনোই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি।
এ ঘটনার পর প্রায় ২০ বছর ধরে অক্ষয়-প্রিয়াঙ্কাকে আর একসঙ্গে কাজ করতে দেখা যায়নি। সুনীল দর্শনের এই মন্তব্যে তাদের বিচ্ছেদ নিয়ে নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে নেট দুনিয়ায়।