প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬,৫৩১ শিক্ষকের নিয়োগপত্র প্রদান স্থগিত করেছে হাইকোর্ট
Date: 2024-11-19
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে নিয়োগ পাওয়া ৬,৫৩১ জনের নিয়োগপত্র প্রদানের প্রক্রিয়া স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। কোটাপদ্ধতি অনুসরণ করে নিয়োগ দেওয়ায় এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই স্থগিতাদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ও অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর মোহাম্মদ আজমী।
গত ৩১ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া) জন্য সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে। এতে উত্তীর্ণ হন ৬,৫৩১ জন। আগামীকাল (২০ নভেম্বর) থেকে তাদের নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা ছিল। তবে হাইকোর্টের এই স্থগিতাদেশের ফলে প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ থাকবে।
গত ২৮ মে হাইকোর্ট ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষাসহ পুরো প্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন। পরে আপিল বিভাগ সেই স্থগিতাদেশ খারিজ করে দিলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ সম্পন্ন করে এবং চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে।
তবে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠে। এর ভিত্তিতে আদালত ওই অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন।
এই আদেশের ফলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগ কার্যক্রমে নতুন জটিলতা তৈরি হয়েছে। আদেশ অনুসারে, আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এই ৬,৫৩১ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে।
We may use cookies or any other tracking technologies when you visit our website, including any other media form, mobile website, or mobile application related or connected to help customize the Site and improve your experience.
learn more