স্বাধীন ডেস্ক:
আজ থেকে সকল পোশাক কারখানা খোলা।পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ দেন। এদিন কোথাও শ্রমিক অসন্তোষের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। গত বেশ কিছু দিন কারখানা বন্ধ থাকায় ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে অনেক কারখানায় অতিরিক্ত সময়ে কাজ করানো হচ্ছে। গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী, বিসিক, বোর্ডবাজার, ছয়দানা, ভোগড়া, চান্দনা চৌরাস্তা, কোনাবাড়ী, কাশিমপুর, বাঘেরবাজার, মাওনা, সফিপুর, মৌচাকসহ জেলার প্রায় সব স্থানে পোশাক কারখানাগুলোতে ছিল স্বাভাবিক পরিবেশ। কারখানাগুলো পুরোপুরি উৎপাদনে ফিরেছে বলে জানা গেছে। যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা শিল্প অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে টহল দেন।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর গাজীপুর কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় সব মিলিয়ে নিবন্ধিত কারখানা রয়েছে ২ হাজার ৬৩৩টি। এর বাইরে অনিবন্ধিত কারখানা আছে ৪০০-৫০০টি। এসব কারখানায় শ্রমিক কাজ করেন প্রায় ২২ লাখ।
গাজীপুর শিল্পপুলিশের এসপি মোহাম্মদ সারওয়ার আলম বলেন, ‘শিল্পকারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। নতুন করে কোথাও শ্রমিক অসন্তোষের কোনো খবর আসেনি।’
আশুলিয়ায় বন্ধ ছিল ৫২ কারখানা :
বিভিন্ন দাবিতে গত দুই সপ্তাহ ধরে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষ চলে আসছে। গত বৃহস্পতিবার আশুলিয়ার বন্ধ হওয়া ২১৯ কারখানার মধ্যে অধিকাংশই খুলে দেওয়ার পর সেগুলোতে শুরু হয়েছে উৎপাদন। তবে এখনো বন্ধ রয়েছে ৫২টি কারখানা। এর মধ্যে ৩৯টি কারখানা শ্রম আইনের ১৩/১ ধারায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ১৩টি কারখানায় কর্র্তৃপক্ষ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের কোথাও কোনো শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেনি। কারখানাগুলোর নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও শিল্পপুলিশ সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন।
শিল্পপুলিশের সুপার সারোয়ার আলম বলেন, ‘শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় মোট কারখানা রয়েছে ১ হাজার ৮৬৩টি। এর মধ্য অধিকাংশই পোশাক কারখানা। গত কয়েকদিনের চেয়ে আজ (গতকাল) শিল্পাঞ্চলের পরিস্থিতি ছিল অনেকটাই স্বাভাবিক। তবে দাবি-দাওয়া নিয়ে সুরাহা না হওয়ায় এখন পর্যন্ত ৩৯টি কারখানা বন্ধ আছে। এছাড়া ১৩টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এসব কারখানার মধ্যে অধিকাংশই পোশাক কারখানা। দুই একটি রয়েছে ওষুধ ও জুতা তৈরির কারখানা।’