জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় পরকীয়ার অভিযোগে আরিফুল ইসলাম সুমন (৪০) নামে এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যকে স্থানীয় জনতা গণপিটুনি দিয়েছে। গত বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার আদ্রা ফকিরপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওই ইউপি সদস্যকে আটক করে মারধরের ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। গণপিটুনির শিকার আরিফুল ইসলাম সুমন মেলান্দহ উপজেলার ৬নং ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য এবং ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি। তিনি নাওঘাটা এলাকার মৃত মজনু মেম্বারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম সুমন দীর্ঘদিন ধরে এক গৃহবধূর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন। বুধবার রাতে ওই গৃহবধূর সঙ্গে দেখা করতে গেলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে মারধর করে। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে আরিফুল ইসলাম সুমন মারধরের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, "রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি ফেরার সময় কয়েকজন লোক আমাকে মারধর করে। তবে পরকীয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।" আইনের আশ্রয় নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "সেটা পরে দেখা যাবে।"
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুজ্জামান বলেন, "এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।"
এদিকে, অভিযুক্ত গৃহবধূ ও তার পরিবারের সদস্যরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। অনেকে সামাজিক মাধ্যমে ঘটনার বিচার দাবি করছেন, আবার কেউ কেউ বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন।