স্বাধীন ডেস্ক :
পিরোজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যাতে সাতজন আহত হয়েছেন। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পিরোজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতদের মধ্যে পিরোজপুরের সমন্বয়ক রেদওয়ানুল ইসলাম ও ইমরান হোসেনকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়করা জেলার বিভিন্ন উপজেলার কর্মীদের সাথে মতবিনিময়ের জন্য এই সভার আয়োজন করেন। সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা, যার মধ্যে আব্দুল হান্নান মাসুদ, সানজানা আফিফা অদিতি, এস এম সাঈদ, হাসিবুল হাসান শান্ত, সাব্বির উদ্দিন রিয়ন, জিহাদ হোসেন, শাহিদুল ইসলাম শাহিদ এবং ফারিয়া সুলতানা লিজা উপস্থিত ছিলেন।
তবে, সভা চলাকালীন সময়ে পিরোজপুর জেলা শাখার নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পিরোজপুরে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শাহরিয়ার আমীন সাগর ও মুসাব্বির মাহমুদ সানি নিজেদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক হিসেবে দাবি করেন। কিন্তু তাদের এই দাবিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মেনে নিতে রাজি হননি, ফলে উত্তেজনা বাড়তে থাকে এবং তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তা নিতে হয়। তারা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এরপর, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেনাবাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা পুনরায় মতবিনিময় সভা করেন।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আরও নিরাপত্তা জোরদার করেছে।