বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের নতুন ও পুরোনো উপদেষ্টাদের দপ্তর পুনর্বণ্টন করা হয়েছে। রবিবার (১০ নভেম্বর) রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে নতুন দু’জন উপদেষ্টার দপ্তর বণ্টনের পাশাপাশি ছয়জন পুরোনো উপদেষ্টার দপ্তর পুনর্বণ্টন করা হয়।
নতুন উপদেষ্টাদের মধ্যে আকিজ-বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ বশির উদ্দিনকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে নতুন আরেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে এখনো কোনো দপ্তর দেওয়া হয়নি।
পুরোনো উপদেষ্টাদের মধ্যে আলী ইমাম মজুমদার আগে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংযুক্ত ছিলেন, কিন্তু পুনর্বণ্টনের মাধ্যমে তাকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা সালেহ উদ্দিন আহমেদের দায়িত্ব কমানো হয়েছে; এখন তিনি শুধুমাত্র অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন।
উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ আগের মতোই দুটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকলেও তার দপ্তর পুনর্বণ্টন করা হয়েছে। তিনি আগে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। এখন ভূমি মন্ত্রণালয় তার অধীনে থাকলেও তাকে স্থানীয় সরকারের পরিবর্তে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ধরে রেখেছেন, কিন্তু শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি আগে বস্ত্র ও পাট এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
আইন মন্ত্রণালয়সহ আরও তিনটি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের দায়িত্ব কিছুটা কমানো হয়েছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব এখন আর তার অধীনে নেই। নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টাদের দপ্তর পুনর্বণ্টন নিয়ে সরকারের এই উদ্যোগে মন্ত্রিসভার কার্যক্রমে নতুন দৃষ্টিভঙ্গির পাশাপাশি কার্যকর প্রশাসনিক গতি আসার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।