যৌথ বাহিনীর অভিযানে ময়মনসিংহে এক যুবদল নেতা নিহত

Date: 2024-09-17
news-banner

 স্বাধীন ডেস্ক :

ময়মনসিংহে জমি দখল, বালুর ঘাট দখল, চাঁদাবাজি এবং অস্ত্র প্রদর্শনের মতো অপরাধের অভিযোগে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তারকৃত যুবদল নেতা সাইদুল ইসলাম নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর গোলপুকুর পাড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত সাইদুল ইসলাম ময়মনসিংহ মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং নগরীর গোলপুকুর পাড় এলাকার বাসিন্দা আব্দুস ছালামের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে জমি ও বালুর ঘাট দখল, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় এবং অস্ত্র প্রদর্শনের মতো বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠে। এসব কর্মকাণ্ডের কারণে সম্প্রতি যৌথ বাহিনীর কাছে সাইদুলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে।

১৬ সেপ্টেম্বর রাতে যৌথ বাহিনী সাইদুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালায়। অভিযানের সময় সাইদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর যৌথ বাহিনীর সদস্যরা তাকে মারধর করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই মারধরের কারণে ঘটনাস্থলেই সাইদুলের মৃত্যু হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।

পরে রাত দেড়টার দিকে সাইদুল ইসলামকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মমেক) নিয়ে আসা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মচারীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, রাত ১টার দিকে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ছয়জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর যৌথ বাহিনীর সদস্যরা তাদের আবার নিয়ে যান। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন ময়মনসিংহ নগরীর গোলপুকুর পাড় এলাকার মাছুম (২৩), নান্দাইলের মারুফ (২০), নগরীর চরকালীবাড়ী এলাকার হিমেল (২২), একই এলাকার রিয়াজ (২০), নেত্রকোণা পূর্বধলা উপজেলার সালদীঘা এলাকার মামুন এবং ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা সৈয়দপুর গ্রামের রাসেল (৩০)।

এই ঘটনার পর ময়মনসিংহের স্থানীয় বিএনপি নেতাদের প্রতিক্রিয়া জানতে যোগাযোগ করা হলে, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লিটন আকন্দ এবং ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন ফোন রিসিভ করেননি। ফলে এই ঘটনার বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এই মৃত্যু এবং যৌথ বাহিনীর অভিযানের প্রেক্ষিতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, এবং স্থানীয়ভাবে এ বিষয়ে আরও তদন্তের দাবি উঠতে পারে।


Leave Your Comments