বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতাকর্মীদের তার নামের আগে ‘দেশনায়ক’ ও ‘রাষ্ট্রনায়ক’ সম্বোধন না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বিএনপির আয়োজিত এক কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, “আমার নামের আগে দেশনায়ক ও রাষ্ট্রনায়ক বলে সম্বোধন করবেন না। আমি দলের নেতা-কর্মীদের অনুরোধ করছি এই বিষয়টি মেনে চলার জন্য।”
তারেক রহমান কর্মশালায় অভিযোগ করেন, “দেশে কোথাও একটি ষড়যন্ত্র চলছে। এ জন্য জনগণকে সচেতন করতে হবে এবং তাদের সঙ্গে রাখতে হবে। জনগণই আমাদের প্রধান শক্তি।”
তিনি রাজনৈতিক মুক্তির জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “স্বাধীন ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। বিএনপি যে কোনো মূল্যে দেশে ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে।”
আওয়ামী লীগের জবাবদিহি না থাকার প্রসঙ্গ টেনে তারেক রহমান বলেন, “নির্বাচনের জবাবদিহি না থাকায় আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছে। রাজনীতি রুগণ হলে অর্থনীতি, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা ব্যবস্থাও রুগণ হয়। সুতরাং জবাবদিহি নিশ্চিত করাই হবে আমাদের অন্যতম প্রধান কাজ।”
বিএনপির ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “৩১ দফার বাইরে ভালো কোনো সংস্কার প্রস্তাব এলে তা গ্রহণ করা হবে। ক্ষমতায় গেলে আমরা সেই প্রস্তাব নিয়ে কাজ করব। উঠান বৈঠক সংস্কৃতি ফিরিয়ে এনে এই সংস্কার প্রস্তাব সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।”
তারেক রহমান আরও বলেন, “বিএনপির লক্ষ্য হলো গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা। জবাবদিহিমূলক প্রতিনিধিত্ব ও গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে দেশে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হবে।”
তার এই বক্তব্য বিএনপির নেতাকর্মী এবং রাজনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি দলীয় ঐক্য এবং রাজনৈতিক সংস্কারের দিকে তারেক রহমানের মনোযোগের ইঙ্গিত বহন করে।