মুন্সীগঞ্জে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ৩৭২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন এবং কয়েকগুণ বেশি রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। শনিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, জেনারেল হাসপাতালের মহিলা ডেঙ্গু ওয়ার্ডের সামনের ফ্লোরেও চিকিৎসা নিচ্ছেন ১০-১২ জন রোগী। প্রচণ্ড চাপের কারণে অনেকে হাসপাতালের বারান্দায় ফ্লোরে শুয়েই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে ২৭ জন ডেঙ্গু রোগী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন, এবং পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় ঢাকায় রেফার করা হয়েছে চারজনকে। তবে ডেঙ্গু রোগীর এই ক্রমবর্ধমান সংখ্যার জন্য দায়ী শহরের মশা নিয়ন্ত্রণের অভাব এবং দীর্ঘ বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা। ইসলামপুর ও খালইস্টসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানি জমে মশার বংশবিস্তারের সুযোগ পাচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মশার ওষুধ যথাসময়ে প্রয়োগ করা হচ্ছে না, এবং সিটি করপোরেশনের সেবা ব্যাহত হওয়ায় মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ঢিমেতালে চলছে। এছাড়া, শহরের বিভিন্ন এলাকায় নালা ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে মশার উপদ্রব বেড়েছে।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সাইদুর রহমান হিমেল বলেন, "দিনে অন্তত ১৫ জন মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাই মশা নিয়ন্ত্রণে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।" তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু হেনা মো. জামাল জানান, ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা কর্নার রয়েছে, তবে মেঝেতে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়টি তার অজানা ছিল। তিনি জ্বরের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন।
মুন্সীগঞ্জের সিভিল সার্জন মনজুরুল আলম বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণে সাধারণ মানুষেরও ভূমিকা থাকা জরুরি।