ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু লেবাননের সরকার ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন, দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর হামলার কারণে বাস্তুচ্যুত ইসরায়েলিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে। গতকাল ইসরায়েলের রাজধানী জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গে বৈঠকে এ দাবি জানান তিনি।
নেতানিয়াহু অভিযোগ করেন, হিজবুল্লাহর হামলার কারণে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের অনেক বাসিন্দা তাদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন এবং তারা পুনরায় ফিরে আসার পর যেনো পুনরায় একই বিপদের মুখোমুখি না হন, এজন্য লেবাননের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পরিবর্তন অত্যাবশ্যক।
হিজবুল্লাহর হুমকি এবং লেবানন অভিযান
হিজবুল্লাহ, ইরানের প্রত্যক্ষ মদতপুষ্ট এবং বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম সশস্ত্র ইসলামি রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত, ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের নিকটবর্তী দক্ষিণ লেবাননে সক্রিয়। গাজায় হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের পর থেকে ইসরায়েল লক্ষ্য করে একাধিক রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলের বিমানবাহিনী দক্ষিণ লেবাননে অভিযান শুরু করে, যেখানে হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহসহ শীর্ষ কমান্ডাররা নিহত হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আইডিএফের স্থল বাহিনীও ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে অভিযান চালাচ্ছে। এই অভিযানে ইতোমধ্যে ৬০ হাজারেরও বেশি লেবাননের বাসিন্দা তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে দ্বিমত
বৈঠকে গাজায় চলমান সংঘাত নিয়েও আলোচনা হয়, যেখানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করেন। তবে, নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেন, হামাসের কব্জায় থাকা জিম্মিদের উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী সর্বাত্মক চেষ্টা করছে এবং বর্তমানে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলে সেই প্রচেষ্টায় ব্যাঘাত ঘটবে।
দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকটি বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় বলে জানায় নেতানিয়াহুর দপ্তর।