যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ক্যাম্পাস থেকে মনিরামপুরগামী বাসে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ল্যাব সহকারী মনিরুজ্জামান। ঘটনার পর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন, যার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত কর্মচারীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে এবং পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার (৪ নভেম্বর) যবিপ্রবি ক্যাম্পাস থেকে মনিরামপুরগামী বাসে অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান ঐ ছাত্রীর পিছনের সিটে বসে জানালার পাশের ফাঁকা জায়গা থেকে তার গায়ে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। ঘটনাটি ওই ছাত্রীর সহপাঠীরা জানার পর আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে অভিযুক্ত মনিরুজ্জামানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ফেরত আসা বাস থেকে নামিয়ে সহপাঠীরা চড়-থাপ্পড় দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আমজাদ হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আইপিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন এবং অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন যে, মনিরুজ্জামান এর আগেও বেশ কয়েকবার অশালীন আচরণ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাকে বরখাস্ত রাখার ঘোষণা দেয়। পাশাপাশি অভিযুক্তের মুচলেকা নিয়ে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আমজাদ হোসেন বলেন, “অভিযুক্ত মনিরুজ্জামানকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং ঘটনাটির তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
এই ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, এবং শিক্ষার্থীরা এর সুষ্ঠু বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন।