ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসাইন বলেছেন, কোরআন তিলাওয়াতের পুরস্কারের পাশাপাশি কোরআনের আদর্শ ও মূল্যবোধকে জীবনের সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই তা হবে সর্বোচ্চ সফলতা। তিনি সোমবার (০৪ নভেম্বর) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত কৃতি হাফেজ সংবর্ধনা ২০২৪ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এ অনুষ্ঠানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পুরস্কারপ্রাপ্ত বাছাইকৃত কৃতি হাফেজদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশি শিশু-কিশোরেরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পবিত্র কোরআনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে গৌরবজনক পুরস্কার অর্জন করে আসছে। আরবি ভাষাভাষীর দেশগুলোতে ভিন্ন ভাষাভাষী হয়েও বাংলাদেশের হাফেজরা সাফল্য অর্জন করছে, যা এই দেশের জন্য গর্বের। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, বাংলাদেশের কোরআন শিক্ষার মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, যা শিক্ষকদের মেহনত ও ছাত্রদের পরিশ্রমের ফল।
ড. খালিদ হোসাইন আরও বলেন, কোরআন শুদ্ধভাবে তিলাওয়াতের পাশাপাশি এর আদেশ-নিষেধগুলোকে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে মেনে চলতে হবে। তিনি কোরআন শিক্ষার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার পরামর্শ দেন, যেন কোরআনের আলোকে সমাজকে পরিবর্তন করা সম্ভব হয়। এতে করে আমরা একটি নতুন দেশ ও সমাজ খুঁজে পাব।
এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির হাফেজ আল্লামা তাজুল ইসলাম, আব্দুল হক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়েখ হাফেজ আব্দুল হক, ঢাকার কাটাবন কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব অধ্যাপক ড. রফিকুর রহমান মাদানী, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. যোবায়ের মোহাম্মদ এহসানুল হকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ছাত্রদের সঠিক লক্ষ্যচ্যুতির হাত থেকে রক্ষার জন্য শিক্ষকদের সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়ার আহ্বান জানান এবং অতিমাত্রায় যশ ও খ্যাতির মোহে না পড়ার পরামর্শ দেন।