বিতর্কিত অধ্যাপক কলিমুল্লাহকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদ থেকে অপসারণের দাবি শিক্ষার্থীদের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের বিতর্কিত অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য ও পূর্বতন চাকরিকাল গণনা কমিটির আহ্বায়ক করায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে তাকে সকল পদ থেকে অপসারণের দাবি জানিয়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

রোববার (১৭ নভেম্বর) বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাহাত হোসেন ফয়সালের মাধ্যমে উপাচার্যের কাছে লিখিত আবেদনে এই দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হলে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও অধ্যাপক কলিমুল্লাহকে বিতাড়িত করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সুজয় শুভ বলেন,

“অধ্যাপক কলিমুল্লাহ বিগত সময়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বিতর্কিত ব্যক্তি। তাকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়া অত্যন্ত আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। আমরা আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে। তা না হলে আমরা যৌথভাবে প্রতিবাদে নামবো।”৭ নভেম্বর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ড. কলিমুল্লাহকে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পূর্বতন চাকরিকাল গণনার পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক করা হয়। এর আগে ১৪ অক্টোবর আরেক চিঠিতে তাকে একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল।

ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিভিন্ন বিতর্কিত নির্বাচনে কার্যকর ভূমিকা রাখার অভিযোগে সমালোচিত। তার কাজ এবং অবস্থান নিয়ে ইতিমধ্যে একাধিকবার বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মতে, এমন একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রাখা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদার পরিপন্থী।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকায় দ্রুত সমাধানের দাবি উঠেছে।