খুলনার পাইকগাছায় প্রেম ও পাল্টা বিয়ের নাটকীয় ঘটনায় এলাকায় তোলপাড়

Date: 2024-10-06
news-banner
 খুলনার পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নে এক অদ্ভুত ও ব্যতিক্রমী ঘটনা কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ভবনের মালিকের স্ত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পালিয়ে যান এক রাজমিস্ত্রী। পরে সেই ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে ভবনের মালিক ওই রাজমিস্ত্রীর স্ত্রীকে বিয়ে করেন। এই অস্বাভাবিক ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে, যেখানে সাধারণ মানুষের মন্তব্য—"যেমন কর্ম, তেমন ফল।"
জানা গেছে, আগস্ট মাসের শুরুর দিকে রাড়ুলী গ্রামের ভবন মালিক কামাল সরদারের বাড়িতে রাজমিস্ত্রীর কাজে আসেন মোস্তফা দফাদার। মোস্তফা দফাদার শ্রীকান্ঠুপুর গ্রামের সামছুর দফাদারের ছেলে এবং পেশায় রাজমিস্ত্রী। কাজের সুবাদে কামালের স্ত্রীর সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে। মাত্র আট দিনের মধ্যেই তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে, যা চার দিনের মধ্যেই পরকীয়ার রূপ নেয়।

এরপর ১৫ আগস্ট, মোস্তফা তার মালিক কামালের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান। পালানোর পাঁচ দিন পর তারা বিয়ে করেন। এ ঘটনায় কামাল সরদার এবং তার পরিবারে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর এলাকাবাসীর মধ্যেও কৌতূহল এবং আলোচনা তুঙ্গে ওঠে।
কামাল সরদার পরকীয়ার ঘটনায় অপমানিত বোধ করে প্রতিশোধ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি মোস্তফার স্ত্রীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। দুই পরিবারের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা শেষে ১৯ সেপ্টেম্বর, কামাল সরদার মোস্তফার স্ত্রীকে বিয়ে করেন। এই পাল্টা বিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। মোস্তফার স্ত্রী নতুন জীবনে প্রবেশ করার পরেও ঘটনাটি পুরো এলাকা জুড়ে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
এলাকার মানুষজন এ ঘটনাকে অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর ও মজার হিসেবে দেখছেন। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, "যেমন কর্ম, তেমন ফল," যা এই ঘটনায় যেন প্রযোজ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রাড়ুলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সহিলউদ্দি সরদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, "কামাল সরদারের সুন্দরী স্ত্রী রাজমিস্ত্রীর সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল। পরে দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে কামাল মোস্তফার স্ত্রীকে বিয়ে করেছে। ঘটনাটি সত্য এবং এলাকায় এ নিয়ে তোলপাড় চলছে।"
পাইকগাছা থানার ওসি তুষার কান্তি দাশ জানান, এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তিনি বলেন, "ঘটনাটি সম্পর্কে আমি আগে কিছু জানতাম না। আপনার কাছ থেকেই প্রথমবারের মতো শুনছি। কেউ এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ জমা দেয়নি।"

এই নাটকীয় ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকে উভয় পক্ষের বাড়িতে প্রতিনিয়ত ভিড় জমাচ্ছে উৎসুক জনতা। ঘটনাটি এখন পুরো রাড়ুলী ইউনিয়নের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

এ ঘটনাকে ঘিরে এলাকার মানুষের কৌতূহল কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

Leave Your Comments