যশোরের ঝিকরগাছায় যুবদলকর্মী পিয়াল হাসানকে কুপিয়ে হত্যা

Date: 2024-11-09
news-banner

যশোরের ঝিকরগাছায় পিয়াল হাসান নামে এক যুবদলকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত পিয়াল মোবারকপুর গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে। শনিবার দুপুর ২টার দিকে ঝিকরগাছা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের বারান্দায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, এর আগে হল রোডে বটতলায় পিয়ালের ওপর হামলা চালায় হামলাকারীরা। প্রাণে বাঁচতে দৌড়ে পিয়াল বিদ্যালয়ের ভেতরে আশ্রয় নেন। দুর্বৃত্তরা তার পিছু নেয় এবং বিদ্যালয়ে ঢুকে তার ওপর বোমা হামলা চালায় ও কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট কামারুল ইসলাম নামে একজনকে ছুরিকাঘাতে আহত করেছিলেন পিয়াল। সেই মামলায় গত বৃহস্পতিবার জামিনে মুক্ত হন তিনি। কামারুলের পরিবারের সদস্যরা প্রতিশোধ নিতেই পিয়ালকে হত্যা করেছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

নিহতের বাবা কিতাব আলী জানান, দুপুরে খাবারের জন্য বাড়ি ফেরার পথে হল রোডে মোবারকপুর গ্রামের কামারুল ইসলামের ছেলে শাহীন ও শামীম, আমিরুল ইসলামের ছেলে ডালিম ও রিপন, ইয়াকুব আলীর ছেলে সোহেল, আব্দুস সোবহানের ছেলে মেহেদী ও আইয়ুব, এবং এলাকার ইসমাইলসহ একদল দুর্বৃত্ত তার ওপর আক্রমণ চালায়। নিজেকে রক্ষা করতে গার্লস স্কুলে আশ্রয় নিলেও সেখানেই তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

পিয়ালের চাচা সিরাজুল ইসলাম জানান, শামীম-শাহীনদের বাবা কামারুল ইসলামের সঙ্গে পিয়ালের বিরোধ মীমাংসার জন্য আজ সন্ধ্যায় বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৈঠকের আগেই তাকে হত্যা করা হয়।

ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পার্থ সারথী রায় জানান, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই পিয়ালের মৃত্যু হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপের গভীর চিহ্ন রয়েছে, এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।

ঝিকরগাছা থানার ওসি মো. বাবলুর রহমান খাঁন জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Leave Your Comments