বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, পতিত সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জামায়াতে ইসলামী। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াত আমির অভিযোগ করেন, “আমাদের পাঁচ শতাধিক সহকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। হাজার হাজার মামলা দিয়ে লাখ লাখ মানুষকে জেলে নেওয়া হয়েছে। কার্যত আমাদের পুরো দলকেই কারাগারে পরিণত করা হয়েছিল। এমনকি অনেক বিবেকবান সাংবাদিকও সত্য প্রকাশের জন্য দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।”
২০১৩ সালে শাহবাগ আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “শাহবাগ আন্দোলনের সময় দুইটি সরকার প্যারালালভাবে চলছিল। একটি সংসদভিত্তিক সরকার এবং অন্যটি শাহবাগকেন্দ্রিক। শাহবাগের সরকার সংসদীয় সরকারের চেয়েও ক্ষমতাবান হয়ে উঠেছিল। তাদের ইচ্ছায় জাতীয় পতাকা উঠত-নামত। এ ধরনের বিশৃঙ্খলা জাতি বিস্ময়ের সঙ্গে প্রত্যক্ষ করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “গত সাড়ে ১৫ বছরে স্বৈরাচারী সরকার জনগণের সব অধিকার হরণ করেছে। ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার, মত প্রকাশের অধিকার এবং নিজের ভোট দেওয়ার অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করা হয়েছে। বিরোধী দলের অসংখ্য নেতাকর্মীকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে। এই ধ্বংসযজ্ঞ ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার তাণ্ডব দিয়ে শুরু হয়েছিল এবং ২০২৪ সাল পর্যন্ত তা চলেছে।”
জামায়াতের ওপর চালানো নিপীড়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “দুইজন সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযম (রহ.) ও শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী (রহ.) সহ ১১ জন সহকর্মীকে বিচারের নামে প্রহসন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ তখনও করেছি এবং এখনও করছি। আমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে তাদের শহীদের মর্যাদা প্রার্থনা করছি।”
মজলিসে শূরার অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের এবং মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ ও মজলিসে শূরার অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।