জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জাপানের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর কোনো জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশ ছাড়েনি। বরং দেশটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ড. ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, “জাপান বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে তিনটি স্তম্ভে সুদৃঢ় করবে: শান্তি ও স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং মানবিক মিথস্ক্রিয়া। আমরা এসব ক্ষেত্রকে সমর্থন করতে সবসময় প্রস্তুত।”
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, “নির্বাচনসহ নানা ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার উদ্যোগকে টোকিও দৃঢ় সমর্থন করে। বর্তমান সরকারের সংস্কার অ্যাজেন্ডা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে সহায়ক হবে।”
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের সুসম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে তার অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ আমাদের জন্য ইতিবাচক বার্তা বহন করে। আমরা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।”
রোহিঙ্গা সংকটের প্রসঙ্গে ড. ইউনূস মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে একটি জাতিসংঘ-গ্যারান্টিযুক্ত নিরাপদ অঞ্চল তৈরির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। এ অঞ্চল বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্যোগের প্রশংসা করে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, “টোকিও এই বৈঠককে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করবে।”
বৈঠকে এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও সরকারের সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।