দ্বিতীয় বিয়ের দেনমোহর হিসেবে ৩ লাখ ৩ হাজার টাকা পরিশোধের পর বাসর রাতেই নববিবাহিত স্ত্রী পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। রাজশাহী নগরের পদ্মা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মোস্তাফিজুর এ ঘটনায় নগরের চন্দ্রিমা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত স্ত্রী তামান্না আক্তার ফেন্সি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের কর্মী এবং যুব মহিলা লীগের একজন সক্রিয় সদস্য।
২০ নভেম্বর রাতে মেহেরচন্ডি এলাকার একটি কাজি অফিসে তামান্না আক্তারের সঙ্গে মোস্তাফিজুরের বিয়ে হয়। মোস্তাফিজুর নগদ ৩ লাখ ৩ হাজার টাকা দেনমোহর দেন। বিয়ের পর তারা একটি তিনতারকা হোটেলে বাসর রাতে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। কিন্তু হোটেলে ওঠার আগে তামান্না টাকা বাড়িতে রেখে আসার কথা বলে চলে যান। পরে আর ফিরে আসেননি।
মোস্তাফিজুর বলেন, “আমি তাকে বারবার ফোন দিয়েছি, কিন্তু সে সাড়া দেয়নি। চার দিন পর সে আমাকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছে।”
তামান্না আক্তার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “মোস্তাফিজুর আমাকে দেনমোহরের টাকা দেননি। বরং তিনি বিয়ের পর বাড়ি নিয়ে যাওয়া এবং জমি ও ফ্ল্যাটবাড়ি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন। আমি পালিয়ে যাইনি, আমি অফিস করছি।”
মোস্তাফিজুর দাবি করেছেন, তামান্না বিয়ের নামে প্রতারণা করেছেন। এর আগেও তিনি প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। অন্যদিকে, তামান্না দাবি করেছেন, দেনমোহরের টাকা বুঝে না পাওয়া এবং প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায় তিনি তালাক দিয়েছেন।
চন্দ্রিমা থানার ওসি মতিয়ার রহমান বলেন, “মোস্তাফিজুর আমাদের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তাধীন। দেনা-পাওনার বিষয়গুলো আদালত নির্ধারণ করবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। ভুক্তভোগী মোস্তাফিজুর তামান্নার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। অন্যদিকে, তামান্না নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এখন তদন্ত ও আদালতের রায়ের ওপর নির্ভর করবে এই ঘটনার সঠিক বিচার।