জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশবিরোধী বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা মোকাবিলায় ফেসবুকের মূল সংস্থা মেটার সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মেটার মানবাধিকার নীতি বিষয়ক পরিচালক মিরান্ডা সিসন্সের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ অনুরোধ জানান।
ড. ইউনূস অভিযোগ করেন, কয়েকটি দেশ থেকে পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশবিরোধী বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তিনি মেটার প্ল্যাটফর্মে এ ধরনের অপপ্রচার ঠেকাতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
মিরান্ডা সিসন্স মেটার মানবাধিকার নীতির বিষয়ে ব্যাখ্যা করে বলেন, তাদের প্ল্যাটফর্মে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা ঠেকাতে তারা সর্বদা সতর্ক রয়েছে।
ড. ইউনূস ফেসবুককে আরও ব্যবহারকারী-বান্ধব করার প্রস্তাব দিয়ে বলেন, “প্রযুক্তি অনেক কিছু ঘটানোর হাতিয়ার। তবে, এটি কীভাবে কাজে লাগানো হবে তা নির্ধারণ করতে আমাদের সঠিক পরিকল্পনা প্রয়োজন। তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে ফেসবুককে আরও কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।”
তিনি আরও জানান, তরুণ জনগোষ্ঠীর স্বার্থে বাংলাদেশ সরকার মেটার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে প্রস্তুত।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ, প্রধান উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সচিব-২ সজীব এম খায়রুল ইসলাম, মেটার পাবলিক পলিসি বিভাগের বাংলাদেশ ও নেপাল প্রধান রুজান সারোয়ার, অ্যাসোসিয়েট জেনারেল কাউন্সেল নয়নতারা নারায়ণ এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে মেটার মিসইনফরমেশন নীতি বিষয়ক প্রধান অ্যালিস বুদিসাত্রিজো।
বাংলাদেশের প্রযুক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনা ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে এ ধরনের বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।