সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত অবৈধ প্রবাসীদের সাধারণ ক্ষমার সুযোগ দিয়েছে আমিরাত সরকার। ইতোমধ্যে ৫০ হাজার অবৈধ প্রবাসী বাংলাদেশি এই সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এই তথ্য জানান।
মুখপাত্র আরও জানান, যারা এখনও সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নেননি, তাদের দ্রুত এই সুযোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমিরাত সরকার অবৈধ প্রবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমার সুযোগ দিয়েছে, যা বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য একটি বড় সুযোগ।"
আমিরাতের ভিসা বিষয়ে রফিকুল আলম বলেন, “আমিরাত তাদের ভিসানীতি বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তন করে থাকে। চলতি বছরের জুলাইয়ের পর থেকে তাদের নীতি আরও কঠোর হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য আসেনি, তবু ভিসা সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য আমিরাত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।”
ভারতে ভিসা জটিলতার কারণে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ইউরোপের চারটি দেশের ভিসার জন্য বিকল্প ব্যবস্থার কথা জানান মুখপাত্র। ফিনল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, পর্তুগাল, ও গ্রিসে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদনকারীদের সুবিধার্থে বাংলাদেশ ও নয়াদিল্লিতে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “নয়াদিল্লিতে অবস্থিত দূতাবাসগুলো সশরীরে উপস্থিতি ছাড়া ভিসা আবেদন গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করেছে। তবে পূর্ব ইউরোপ ও সিআইএসভুক্ত দেশগুলোর ক্ষেত্রে ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে।”
ঢাকায় ইউরোপীয় দেশগুলোর দূতাবাস স্থাপন নিয়ে রফিকুল আলম জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ১৩টি ইউরোপীয় দেশের দূতাবাস ইতোমধ্যে বাংলাদেশে রয়েছে। তবে আরও দেশগুলোর দূতাবাস স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা এবং সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরা হচ্ছে।
তিনি বলেন, “শিক্ষার্থী এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধির জন্য ঢাকায় আরও ইউরোপীয় দূতাবাস স্থাপনের বিষয়টি আলোচনার টেবিলে রয়েছে। এটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার একটি বড় পদক্ষেপ হতে পারে।”