আজ বাংলাদেশের রক সংগীতের কিংবদন্তি ফারুক মাহফুজ আনাম, যিনি জেমস নামে সর্বাধিক পরিচিত, ৬০ বছরে পদার্পণ করেছেন। জেমস একজন গায়ক-গীতিকার, গিটারিস্ট, সুরকার এবং অভিনেতা হিসেবে নিজের এক অনন্য স্থান তৈরি করেছেন। তিনি ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠা করা ব্যান্ড "ফিলিংস" (বর্তমানে "নগর বাউল" নামে পরিচিত) এর প্রধান গায়ক, গীতিকার ও গিটারিস্ট হিসেবে দেশের সঙ্গীতাঙ্গনে বিপ্লব ঘটিয়েছেন।
জেমস ১৯৬৪ সালের ২ অক্টোবর নওগাঁয় জন্মগ্রহণ করেন এবং চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠেন। ১৯৯০ এর দশকে ফিলিংসের নেতৃত্বে তিনি দেশের মূলধারার সংগীতে স্থান করে নেন এবং "বিগ থ্রি অফ রক" এর অন্যতম সদস্য হিসেবে পরিচিত হন। এলআরবি এবং অর্কের পাশাপাশি জেমস বাংলাদেশে হার্ড রক সংগীতের বিকাশ ও জনপ্রিয়তা বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। "ফিলিংস" ব্যান্ডকে বাংলাদেশে সাইকেডেলিক রক সংগীতের প্রবর্তক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শ্রোতাদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় তিনি ‘গুরু’ উপাধি লাভ করেন।
তার একক ক্যারিয়ারও ছিল সাফল্যমণ্ডিত। "অনন্যা" (১৯৮৯), "পালাবে কোথায়?" (১৯৯৫), "দুঃখিনি দুঃখ করোনা" (১৯৯৭), "ঠিক আছে বন্ধু" (১৯৯৯) অ্যালবামগুলো দিয়ে তিনি সংগীতপ্রেমীদের হৃদয়ে গভীরভাবে স্থান করে নেন। বাংলাদেশের সংগীত ছাড়াও তিনি বলিউডে চারটি জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্যাংস্টার (২০০৬), ওহ লামহে (২০০৬), লাইফ ইন এ... মেট্রো (২০০৭), এবং ওয়ার্নিং (২০১৩)।
জেমস তার অনন্য গায়কী, গিটারের সুর এবং সৃজনশীলতায় নিজেকে দেশের অন্যতম প্রভাবশালী সংগীতশিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আজকের দিনে সংগীতপ্রেমীরা তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছেন, যিনি কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের সংগীতকে সমৃদ্ধ করেছেন এবং প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছেন।ক