শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও জনপ্রিয় লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আইসিটির প্রধান কৌঁসুলি মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মুহম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, গণহত্যায় উস্কানিদাতা হিসেবে মুহম্মদ জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তার সঙ্গে আরও ৪৬ জনের বিরুদ্ধে একই ধরনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। যাদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন শীর্ষ মন্ত্রীও রয়েছেন।
এ ঘটনার পেছনের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী, শেখ হাসিনার ‘রাজাকার’ উক্তির প্রতিবাদে ঢাকার ছাত্ররা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বিক্ষোভে নামে। ১৪ জুলাই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ‘তুমি কে আমি কে – রাজাকার, রাজাকার’ এবং ‘কে বলেছে কে বলেছে – স্বৈরাচার, স্বৈরাচার’ স্লোগান দিয়ে শেখ হাসিনার উক্তির প্রতিবাদ জানান।
এ ঘটনার পরপরই অধ্যাপক জাফর ইকবাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং আন্দোলনকারীদের কটাক্ষ করেন। ফেসবুকে করা তার পোস্টে তিনি আন্দোলনকারীদের সমালোচনা করেন, যা দ্রুত ভাইরাল হয়। এরপর, ১৬ জুলাই নিজের ওয়েবসাইটে ‘সাদাসিধে কথা’ নামে একটি লেখা প্রকাশ করে তিনি তার মতামত তুলে ধরেন। সেই মতামতের একটি হাতে লেখা চিরকুটও তিনি প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি লেখেন যে, তিনি আর কখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চান না, কারণ সেখানে রাজাকারদের মুখ দেখতে হবে।
এই লেখাটি প্রকাশের পর সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয় এবং শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা অধ্যাপক জাফর ইকবালকে ক্যাম্পাসে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।