সুইডিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশ ইস্যুতে দীর্ঘ শুনানি

Date: 2024-12-08
news-banner

সুইডেনের পার্লামেন্টে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এক দীর্ঘ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৬ ডিসেম্বর এই শুনানিতে সুইডিশ সংসদ সদস্য লটটা জনসন বাংলাদেশের গত ১৫ বছরের রাজনৈতিক অস্থিরতা, গুম-খুন এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি একইসঙ্গে বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণায় বিলম্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

সংসদ সদস্য লটটা জনসন বলেন, "ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত নির্বাচনের নির্ধারিত তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। এটি কেন বিলম্বিত হচ্ছে?" তিনি সুইডেনের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চেয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিয়া মালমের স্টেনারগার্ডের কাছে প্রশ্ন রাখেন।

জবাবে সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিয়া মালমার স্টেনারগার্ড বলেন, "সুইডেন বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়। এ বিষয়ে আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। আমরা আশা করি, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের অধিকার এবং গণতন্ত্রের স্বার্থে সহযোগিতা করবে।"

শুনানির সভাপতিত্ব করেন ডেপুটি স্পিকার কারস্টিন লুন্ডগ্রেন। এছাড়া, সুইডেনের পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। শুনানিতে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, বিরোধী দলের কর্মীদের ওপর নিপীড়ন, এবং ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম নিয়ে গভীর আলোচনা হয়।

শুনানিতে সুইডেনের সংসদ সদস্যরা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বিশেষত, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব তাদের আলোচনার মূল বিষয় ছিল।

সুইডিশ সরকার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করে যাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, "আমরা আশা করি, বাংলাদেশ দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে এবং অবাধ নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করবে।"

সুইডেনের এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ককে কীভাবে প্রভাবিত করবে, তা নিয়ে কূটনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে।

Leave Your Comments