তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ভারতের গণতন্ত্রপ্রিয় ছাত্রসমাজ বাংলাদেশে চলমান গণজাগরণের সময় একাত্মতা প্রকাশ করে শেখ হাসিনার নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। তবে ভারতের শাসকগোষ্ঠী ও হিন্দুত্ববাদী শক্তি এই গণতান্ত্রিক সম্প্রীতি ও সম্পর্ক চায় না।
মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ নিজের ভেরিফাইড পেজে এসব কথা উল্লেখ করেন তিনি। নাহিদ ইসলাম বলেন, ভারতের শাসকগোষ্ঠী বিভাজনের রাজনীতিতে লিপ্ত। তারা একের পর এক বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের গণজাগরণকে হুমকি হিসেবে দেখে বিদ্বেষ পোষণ করছে।
তিনি আরও বলেন, ভারতের সরকার "সংখ্যালঘু নিপীড়ন" এর মতো টার্ম ব্যবহার করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ব্যাহত করার চেষ্টা করছে এবং ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করছে। এটি বাংলাদেশের জাতি পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করছে।
নাহিদ ইসলাম বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং আসামের জনগণ বাংলাদেশের স্টেকহোল্ডার। তবে ভারতের শাসকগোষ্ঠী ও হিন্দুত্ববাদী শক্তি এই সম্পর্ককে দুর্বল করার চেষ্টা করছে।
তিনি ভারতের নীতির সমালোচনা করে বলেন, "ভারত সরকারকে বাংলাদেশকে আওয়ামী লীগের দৃষ্টিতে দেখা বন্ধ করতে হবে এবং ন্যায় ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।"
নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ আমলে সংখ্যালঘুরা সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের শিকার হয়েছে। তারপরও ভারত আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে এসেছে। তিনি আরও বলেন, "গণহত্যা ও শিশু হত্যার জন্য দায়ী পলাতক শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত সরকার তার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।"
বিজেপির নীতির সমালোচনা করে নাহিদ ইসলাম বলেন, "বিজেপি বাংলাদেশকে ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত করার চেষ্টা করছে, যা ভারতের জন্যও ক্ষতিকর হবে। বাংলাদেশবিরোধী ও মুসলিমবিরোধী রাজনীতি ভারতের জাতীয় স্বার্থে কাজ করবে না।"
তিনি ভারতকে মিথ্যা অপপ্রচার বন্ধ করে গণতন্ত্র ও সম্প্রীতির প্রতি সম্মান বজায় রাখার আহ্বান জানান।