দুর্গাপূজায় ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানি করবে সরকার

Date: 2024-09-21
news-banner
স্বাধীন ডেস্ক :
আসন্ন দুর্গাপূজায় ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ মাছ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকেও একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি-২ শাখা থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ভারতে ইলিশ পাঠানোর তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, রপ্তানিকারকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত শর্ত পূরণ সাপেক্ষে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হলো।
সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ দুপুর ১২টার মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বরাবর (উপসচিব, রপ্তানি-২ শাখা, কক্ষ নং ১২৭, ভবন নং ৩, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়) আবেদন করতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। ওই সময়সীমার পর কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে, ইতোমধ্যে যারা আবেদন করেছেন তাদের নতুন করে আবেদন করার দরকার নেই।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এবার ইলিশ দেওয়া হবে না বলে ইঙ্গিত করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছিলেন, ‘আমরা ক্ষমা চাচ্ছি, কিন্তু ভারতে কোনো ইলিশ পাঠাতে পারব না।’ গত ১৩ সেপ্টেম্বর ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমরা দেখেছি আমাদের দেশের মানুষই ইলিশ খেতে পারেন না। 

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আরও বলেছিলেন বলেন, এবারের দুর্গোৎসবে বাংলাদেশের হিন্দুধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য নাগরিকরা যেন ইলিশ খেতে পারেন সেটি নিশ্চিত করা হবে। ভারতের চেয়ে দেশের জনগণকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে।

এমন অবস্থায় ভারতের পক্ষ থেকে ইলিশ পাঠানোর আবদার করে বাংলাদেশের কাছে চিঠি পাঠানোর খবর পাওয়া গেছে। আর ২১ সেপ্টেম্বরে ভারতে ইলিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। 

হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, গত ৫ বছর ধরে ইলিশ আমদানি হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। এবারও সেই রীতি মেনে ভারতে ইলিশ পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে আবেদন করেছে ফিস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন।  

প্রসঙ্গত, প্রতিবছর দুর্গাপূজার সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার হাজার টন ইলিশ ভারতে পাঠাতেন। তার সেই উদ্যোগের সমালোচনা করে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ভারতে মাছ পাঠানোর কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল না। ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের কথা বলে তার মাছ পাঠানো ঠিক হয়নি। তিনি বাংলাদেশের মানুষের প্রয়োজনীয়তাকে উপেক্ষা করেছেন।

Leave Your Comments