গত বছরের অক্টোবরে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত শুরু হলে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহও এতে যোগ দেয়। তবে সেই সময় হিজবুল্লাহর আক্রমণ দখলদার ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী এলাকায় সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুদ্ধের গতিপথ বদলে গিয়ে এটি এখন সরাসরি হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল যুদ্ধে রূপ নিয়েছে।
বর্তমানে হিজবুল্লাহ তাদের কৌশলগত অবস্থান পরিবর্তন করে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ড্রোন, রকেট এবং মিসাইল হামলা চালাচ্ছে। এসব হামলায় ইসরায়েলি সেনাদের সামরিক অবকাঠামোগুলো টার্গেট করা হচ্ছে। হিজবুল্লাহ সাধারণ ইসরায়েলি নাগরিকদের সতর্ক করে জানিয়েছে, তারা যেন সামরিক স্থাপনার কাছাকাছি অবস্থান না করে, কারণ যেখানে সামরিক স্থাপনা থাকবে, সেখানেই আক্রমণ চালানো হবে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শনিবার (১২ অক্টোবর) সারাদিন ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে সতর্কতামূলক সাইরেন শোনা গেছে। এসব সাইরেন বাজানো এলাকাগুলো সীমান্তবর্তী নয়; বরং ইসরায়েলের অনেক গভীরের অঞ্চল।
গত কয়েকদিনে ইসরায়েলের হামলায় হিজবুল্লাহর উচ্চপদস্থ অনেক কর্মকর্তা এবং কমান্ডার প্রাণ হারালেও গোষ্ঠীটি এখনও সক্রিয় রয়েছে। হিজবুল্লাহ সতর্ক করে জানিয়েছে, ইসরায়েলে তারা যে কয়েকটি রকেট ছুড়েছে তা তাদের ভাণ্ডারের খুবই সামান্য অংশ। ইসরায়েলি বাহিনী যদি লেবাননে হামলা বন্ধ না করে, তবে তাদের কাছে থাকা সব রকেট ব্যবহার করা হবে।
