বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই এবং দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে না পারলে এই ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া যাবে না। রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শনিবার বিকেলে কৃষক দলের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে না পারলে কোনো উন্নয়ন বা ভালো কিছু সম্ভব হবে না। ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে মানুষকে নিজের পছন্দ অনুযায়ী নেতা নির্বাচনের সুযোগ দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে তারেক রহমান ঘোষণা করেন, ১০ নভেম্বর থেকে আগামী তিন মাস প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশের আয়োজন করা হবে। তারেক রহমান বলেন, "কৃষকদের কথা শুনতে হবে এবং তাঁদের সমস্যাগুলোর সমাধান খুঁজতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কৃষকদের সমস্যার সমাধানে বিশেষ পদক্ষেপ নেবে।" তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসূচি পুনরায় চালু করা হবে, যা কৃষিক্ষেত্রে পানির প্রাপ্যতা বাড়িয়ে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
তারেক রহমান উল্লেখ করেন, দেশের বড় অংশের নারীরা কৃষির সঙ্গে যুক্ত, এবং কৃষিক্ষেত্রে তাঁদের সহায়তা করা অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, "কৃষকদের ঋণের বোঝা কমাতে এবং মহাজনদের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে কৃষি বিমা চালু করার পরিকল্পনা আছে।" ফসল নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থেকে কৃষকদের সুরক্ষিত করতে কৃষি বিমার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আলোচনা করেন তিনি।
২০ কোটি মানুষের খাদ্য উৎপাদনের চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, খাদ্য আমদানির উপর নির্ভরশীলতা কমাতে দেশেই মৌলিক খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। কৃষিজমি বাড়ানো এবং কৃষিক্ষেত্রে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করার মাধ্যমে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী সভায় বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা একমত পোষণ করেন যে কৃষকদের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ এবং দেশের কৃষি খাতে পুনরায় বিনিয়োগ প্রয়োজন।