বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকার লেকশোর হোটেলে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা: ৩১ দফার আলোকে সংস্কার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
তারেক রহমান বলেন, "আমাদের রাজনৈতিক দর্শনে ভিন্নতা থাকলেও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আদর্শিক ঐকমত্য রয়েছে।" তিনি জানান, বিএনপির লক্ষ্য এমন একটি বাংলাদেশ গড়া, যেখানে জনগণের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে এবং ফ্যাসিবাদ বা স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে তিনি শেখ হাসিনার শাসনামলে তথাকথিত উন্নয়নকে দুর্নীতি, দুঃশাসন ও দুর্বৃত্তায়নের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা বলে সমালোচনা করেন। তার বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে ৩১ দফার ভিত্তিতে গণতন্ত্র, আইন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার রাজনীতি বাস্তবায়ন করবে।
তিনি আরও বলেন, “আমরা এমন একটি রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তুলতে চাই যেখানে প্রধানমন্ত্রীসহ কেউই ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারবে না এবং জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থার আওতায় থাকবে।”
তারেক রহমান আরও প্রতিশ্রুতি দেন যে বিএনপি ক্ষমতায় এলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনা হবে। অতীতের মতো সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে পারবে এবং মতপ্রকাশের কারণে কেউ হয়রানির শিকার হবে না। এছাড়াও তিনি সামাজিক মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাও নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেন।
তারেক রহমানের ভাষণে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো তুলে ধরে তা নির্মূলের আশ্বাস দেওয়া হয়। জাতিসংঘের মানবাধিকার ঘোষণাপত্র অনুসারে প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতিও তার বক্তব্যে উঠে আসে।
বিএনপির এই ৩১ দফা পরিকল্পনা ক্ষমতার পালাবদলকেই গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির মূল ভিত্তি হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে তৈরি বলে উল্লেখ করেন তিনি, যা দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।