বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এখন থেকে গণশুনানির মাধ্যমে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত জ্বালানি বিষয়ক সেমিনারে তিনি এ ঘোষণা দেন।
ফাওজুল কবির খান বলেন, "গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণে আর কোনো যোগসাজশ বা গোপন প্রক্রিয়া থাকবে না। বিইআরসি গণশুনানির মাধ্যমে সবার মতামত নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেবে, যা জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে।"
তিনি আরও জানান, ২০২৫ সালের মধ্যে সরকার ৫০টি অনুসন্ধান কূপ খননের পরিকল্পনা করছে। জ্বালানি খাতে কোনো কেনাকাটা বা বরাদ্দ দেওয়া হবে না গোপন দরপত্রের মাধ্যমে। সব ধরনের কেনাকাটা হবে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে, যা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে।
সেমিনারে তিনি আরও উল্লেখ করেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে এই সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সংস্কারের পর্যাপ্ত সময় পাবে না বলে মনে করেন তিনি।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির যৌক্তিক দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী করার দাবি বিবেচনা করা হচ্ছে। "হুট করে কোনো ঘোষণা দেওয়া সম্ভব নয়, তবে যৌক্তিকভাবে পর্যালোচনা করে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে," যোগ করেন উপদেষ্টা।
এ ধরনের পদক্ষেপ সরকারের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে স্বচ্ছতা এবং কার্যকারিতার প্রতি প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।