বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টির স্বামী ও শিল্পপতি রাজ কুন্দ্রা নতুন করে বিপাকে পড়েছেন। আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এর অধীনে সম্প্রতি ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর) রাজ কুন্দ্রার ৯৭.৭৯ কোটির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে পুণের একটি বিলাসবহুল বাংলো এবং শিল্পার জুহুর একটি ফ্ল্যাট।
২৯ নভেম্বর রাজ-শিল্পার বাড়ি ও অফিসে ইডির হানা দেওয়ার খবর ছড়ায়। অভিযোগ ওঠে, আর্থিক তছরুপ ও পর্নোগ্রাফি মামলায় ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাদের। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ইডি এই অভিযান চালিয়েছে বলে দাবি করা হয়। তবে, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিল্পা-রাজের আইনজীবী। তিনি বলেন, "আমার মক্কেলের বাড়িতে বা অফিসে ইডি হানা দেয়নি। এটি পুরোপুরি ভিত্তিহীন একটি খবর। রাজ তদন্তে সব দিক থেকেই সহযোগিতা করছেন।"
পর্নোগ্রাফি কেলেঙ্কারিতে রাজ কুন্দ্রার নাম প্রথম উঠে আসে মুম্বাই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার তদন্তে। তারা "হটশট" নামের একটি মোবাইল অ্যাপের সন্ধান পায়, যা রাজ পরিচালিত একটি সংস্থা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল। অভিযোগ, রাজ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে স্বল্প ও দীর্ঘ দৈর্ঘ্যের পর্নোগ্রাফি ভিডিও তৈরি করে তা বিক্রি করতেন। এই চক্র আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বিস্তৃত ছিল বলে জানা যায়।
তদন্তে দেখা গেছে, গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপল প্ল্যাটফর্ম থেকে অ্যাপটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, পর্নোগ্রাফি মামলায় জামিন পেলেও আর্থিক তছরুপ এবং বিটকয়েন দুর্নীতির মতো অভিযোগে ইডির নজরদারিতে রয়েছেন রাজ।
পর্নোগ্রাফি এবং আর্থিক তছরুপের মামলায় রাজ কুন্দ্রার নাম জড়ানোর পর থেকে বলিউডে আলোচনার ঝড় উঠেছে। ইডি-র তদন্ত এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের কারণে রাজ ও শিল্পা শেট্টি উভয়ের ওপরই চাপ বাড়ছে।
এই ঘটনাগুলো তাদের বলিউড ক্যারিয়ার এবং ব্যক্তিগত জীবনে গভীর প্রভাব ফেলছে। মামলার পরবর্তী ধাপ কী হবে, তা নিয়ে সবার নজর এখন ইডি এবং আদালতের ওপর।