স্বাধীন ডেস্ক :
বগুড়ার সদরের মানিকচকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে মারধরের পর অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে ধর্ষণ চেষ্টা এবং তার গৃহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার দিকে মানিকচক এলাকার একটি লিচু বাগানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই নারী ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় এজাহার নামীয় আসামিরা হলেন- আশিকুল ইসলাম (৩২), মেহেদী হাসান শাওন (৩৫), হামেদ আলী (২৬), সেলিম হোসেন (২২), মহিন (২২), শাওন (২৪), রকি (২৩)। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি কর্নপুর পশ্চিমপাড়া অন্য দুইজন মধ্যে মিনাজুল ইসলাম (২২) বাড়ি তিলেরপাড়া এবং কর্নপুর দক্ষিণপাড়ার সেলিম মিয়া (২৮)।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই গৃহকর্ত্রী গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার স্বামী ও গৃহকর্মীকে নিয়ে বগুড়া সদরের কর্নপুর এলাকায় তার শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান। পরে রাতের খাবার খেয়ে তারা রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে পায়ে হেটে মানিকচক বাজারের দিকে রওনা দেন। রাত পৌনে ১১টার দিকে তারা মানিকচক হাইস্কুলের দক্ষিণপাশে আরিফের ফ্লেক্সিলোডের দোকানের সামনে পৌঁছামাত্র আসামিরা তাদের সামনে দাঁড়ায়। এর মধ্যে ৯ নং আসামি সেলিম মিয়া তার পরনের বোরকা ধরে টানা হেঁচড়া করে। এ সময় তার স্বামী এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করতে গেলে তারা ধারালো ছুরি বের করে তাকে আক্রমণ করে। এ সময় তার স্বামী জীবন রক্ষার্থে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখন আসামিরা তাকে ও তার গৃহকর্মীকে মারধর ও ভয় দেখিয়ে ওই এলাকার এলপিজি পাম্পের পশ্চিম পাশে লিচু বাগানের ভেতরে নিয়ে যায়। এ সময় আসামিরা তাকে ধর্ষণ চেষ্টা করে। তিনি চিৎকার করলে তাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারা হয়। এ সময় অন্য আসামিরা চলে গেলেও ১নং আসামি আশিকুল ওই গৃহকর্ত্রী ও তার কাজের মেয়েকে লিচু বাগান থেকে মানিকচক বাজারে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে কিছুক্ষণ ঘটনাস্থলে থাকতে বলে। পরে আশিকুল চাকুর ভয় দেখিয়ে তার গৃহকর্মীকে ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে ওই নারীর স্বামী সাহায্যের জন্য ৯৯৯ এ ফোন দেন। ফোন পেয়ে সদর থানা থেকে পুলিশের একটি দল এসে ওই নারী ও গৃহকর্মীকে উদ্ধার করে। পরের দিন শনিবার বিকেলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান চিকিৎসার জন্য।
অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী জানান, শনিবার তাদের কাজের মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তিনি সাড়ে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আসামিরা তাকে অনেক মারধর করেছে। শনিবার রাতেই থানায় মামলা করা হয়। রোববার গৃহকর্মীর মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লা জানান, জরুরি পরিষেবা ৯৯৯ এ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই গৃহকর্ত্রী আর গৃহকর্মীকে উদ্ধার করা হয়েছে। থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।