দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি দিন দিন আরও গুরুতর হয়ে উঠছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি চলতি বছর একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১,০৭৯ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মারা যাওয়া ১১ জনের মধ্যে ৯ জন ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটির ৫ জন এবং দক্ষিণ সিটির ৪ জন। বাকি দুজন খুলনা বিভাগের বাসিন্দা।
২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত ১,০৭৯ জনের মধ্যে ঢাকার দুই সিটিতে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। উত্তর সিটিতে ১৯৪ জন এবং দক্ষিণ সিটিতে ১২১ জন। এছাড়া ঢাকা বিভাগের অন্যান্য অঞ্চলে ২৭২ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
বিভিন্ন বিভাগে নতুন রোগীর সংখ্যা:বরিশাল: ৯৭ জন,চট্টগ্রাম: ১৩৩ জন,খুলনা: ১৪৩ জন,রাজশাহী: ৫৮ জন,ময়মনসিংহ: ৩৫ জন,রংপুর: ১৭ জন ও সিলেট: ৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত একদিনে ১,২৩০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরে মোট ৮২,৬১২ জন রোগী চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৬,৭৯১ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪৫৯ জন।
২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩,২১,১৭৯ জন এবং মৃত্যু হয় ১,৭০৫ জনের। যদিও চলতি বছরের আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কম, কিন্তু বিশেষজ্ঞরা শুষ্ক মৌসুমে ডেঙ্গু রোগ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মশার বংশ বিস্তার রোধে সতর্কতা এবং জনগণের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং পানির জমা এড়ানোই এ রোগ প্রতিরোধের প্রধান উপায়।