বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'দানা'র প্রভাবে বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হয়েছে। দেশের কোথাও মাঝারি, আবার কোথাও ভারি বৃষ্টি হয়েছে। রাত ৯টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, মধ্যরাত বা ভোরের দিকে ভারতের ওড়িশা রাজ্যের উপকূলে আঘাত হানছে ঘূর্ণিঝড়টি। এর ফলে দেশের উপকূলীয় ১৪ জেলায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
উপকূলীয় এলাকার মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। খুলনার কয়রার কপোতাক্ষ নদের দশহালিয়া বেড়িবাঁধে ইতোমধ্যেই ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়া, ভোলা-লক্ষ্মীপুর, ঢাকা-মনপুরা, এবং টেকনাফ-সেন্টমার্টিনসহ বিভিন্ন রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে প্রবল বাতাসে সাতটি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে, এবং বরগুনার বেতাগীতে গাছ পড়ে একজন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তাল সাগরের কারণে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে নিরাপদ স্থানে থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্যানুসারে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ ভারতের পুরী ও সাগর দ্বীপের মাঝখান দিয়ে উত্তর ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করবে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে, যা উপকূলীয় অঞ্চলকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।