চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সংস্কৃত বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী মারুফুল ইসলাম শাকিলকে গ্রেপ্তার করেছে হাটহাজারী থানা পুলিশ। রবিবার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর করা মামলার ভিত্তিতে শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, অভিযুক্ত মারুফুল ইসলাম শাকিল পাঁচ বছরের সম্পর্কের মধ্যে রাজনৈতিক ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ভুক্তভোগীকে সম্পর্ক বজায় রাখতে বাধ্য করে আসছিলেন। তিনি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভুক্তভোগীকে বারবার ধর্ষণ করেন এবং আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে তাকে ব্ল্যাকমেইল করেন। এজাহারে আরও বলা হয়েছে, শাকিল একই ধরনের কৌশলে অন্য মেয়েদের সঙ্গেও সম্পর্ক স্থাপন করে তাদের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করে সম্পর্ক বজায় রাখতেন।
অন্যদিকে, মারুফুল ইসলাম শাকিল তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, ভুক্তভোগীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল, এবং তিনি তাকে ব্যক্তিগত সমস্যায় সহায়তা করেছেন। তবে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ জানান, "অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে গেছে।"
হাটহাজারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাবিবুর রহমান বলেন, "ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর করা মামলায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং মামলার প্রক্রিয়া অনুযায়ী তাকে আদালতে পাঠানো হবে।"
ঘটনাটি চবি ক্যাম্পাসে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবি উঠেছে।